নিজস্ব প্রতিবেদক :
সংসদ সদস্য (কুমিল্লা সদর) ও মহানগরী আওয়ামী লীগ সভাপতি আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার করোনাকালে কুমিল্লার মানুষের পাশে ছিলেন। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সুধীজনরা এ তথ্য দিয়ে বলেন, করোনার প্রথম থেকেই এমপি বাহার মাঠে থেকে খাদ্য, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রচারে কাজ করেছেন। মার্চেই তিনি বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেন। ৫০ হাজারের বেশি মাস্ক ও স্যানিটাইজার এবং ও লাখ পিস সাবান বিতরণ করেন।
তিনি সিটি করপোরেশন ও ফায়ার ব্রিগেডের মাধ্যমে পুরো নগরীতে জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানোর ব্যবস্থা করেন। ছিটানোর সময় তিনি উপস্থিত থাকতেন। এপ্রিলের প্রথম দিকে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে নিয়মিত সভা করে নগরীতে লকডাউন, চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সেখানে করোনা রোগীর চিকিৎসায় ইউনিট চালু করেন। দ্রুত আইসিইউ চালুর বিষয়ে ভূমিকা রাখেন। তিনি সরকারি অনুদান কর্মহীন মানুষের মাঝে সঠিকভাবে বিতরণের পাশাপাশি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ৪০ হাজারের বেশি পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন।
খাদ্য সাহায্য পেয়েছেন ফুটপাথের হকার-শ্রমিক পরিবার, ভ্যান ড্রাইভার পরিবার, অবেতনভুক কর্মচারী পরিবার, স্বর্ণশিল্প কারিগর পরিবার, ক্ষুদ্র দোকান ও ওয়ার্কশপ কর্মচারী, কাঠমিস্ত্রি, বার্নিশ মিস্ত্রি পরিবার, ডেকোরেটর, বাবুর্চি পরিবার, মিষ্টি দোকান কর্মচারী, পত্রিকার হকার পরিবার, জেলে সম্প্রদায়, অসচ্ছল স্কাউট, পরিবহন লাল কার্ড, সবুজ কার্ড শ্রমিক পরিবার, মুদ্রণশিল্প কর্মচারী ও অসচ্ছল ক্রীড়াবিদ পরিবার।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে ১৮ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। কারও খাবার লাগবে ফোনে জানালে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন এমপি বাহার। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছয় মাস ধরে কুমিল্লায় অবস্থান করে সব বিষয়ে ভূমিকা রাখেন, করোনায় যাতে মানুষের কষ্ট না হয় সে ব্যবস্থা নেন।
রোটারি জেলা ৩২৮২-এর সাবেক গভর্নর কুমিল্লার নারী নেত্রী দিলনাঁশি মোহসেন বলেন, করোনার শুরু থেকেই এমপি বাহার মাঠে আছেন। তিনি সুষ্ঠুভাবে লকডাউন দেওয়া, স্বাস্থ্য বিভাগের কাজ তদারকি ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। তার সঙ্গে তার মেয়ে জাগ্রত মানবিকতার সাধারণ সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনাও খাদ্যসামগ্রী ও অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের মতো অন্যদেরও এ রকম মানবিক কাজে এগিয়ে আসা উচিত। কুমিল্লার মানুষ এমপি বাহারকে ‘গণমানুষের নেতা’ বলে। সত্যিই তিনি গণমানুষের নেতা। কুমিল্লার ব্যবসায়ী নেতা শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেন, কুমিল্লা নগরীতে কর্মহীনদের মধ্যে এমপি বাহারের খাবার বিতরণ খুবই প্রশংসনীয়
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মজিবুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধার বাইরে আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপির নিজস্ব অর্থায়ন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি, বিএমএ, স্বাচিপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় কুমিল্লার কভিড হাসপাতালে ১৮টি আইসিইউ বেড স্থাপন করেছি। এ ছাড়া ২১টি হাই ফ্লো অক্সিজেন ন্যাসাল কেনোলা, ভেনটিলেটর, একটি পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন, প্লাজমা চিকিৎসা মেশিন, পিসিআর মেশিন, ১০টি আইসিইউ মনিটর ও রোগীর স্বজনদের জন্য ম্যাট্রেস প্রদান করেন।
আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি মাঠে রয়েছি। করোনার মধ্যে এলাকার জনগণকে ফেলে রেখে পালিয়ে যাইনি। প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় গতি এনেছি। তিনি আরও বলেন, করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দলের কাজও পরিচালনা করেছি। দলীয় সব কর্মসূচি পালন করেছে মহানগরী আওয়ামী লীগ। ১৫ আগস্ট ১৮ হাজার নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। তিনি বলেন, আমি গতানুগতিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই, আমি মানুষের কল্যাণের রাজনীতি করি। এমপি হওয়ার আগেও মানুষের পাশে ছিলাম, এখনো আছি। ইনশা আল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকব।